আহলান কর্পোরেশন
প্রজেক্ট বাই মুরাবাহা

ব্যবসা পরিচিতি:
আহলান দেশের অনলাইন বিজনেস কমিউনিটির একটি পরিচিত নাম। ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে আহলান অদ্যাবধি সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে বিশুদ্ধ খাবার সরবরাহের ব্যবসার সাথে যুক্ত। দীর্ঘদিনের পথচলায় আহলান অর্জন করেছে গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসা। নগদ লাভের চেয়ে সকলের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদে সফলতা অর্জনই আহলানের লক্ষ্য।
ব্যবসার মাত্র ১০ বছরে আহলানের অনেকগুলো ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানসমূহ হলো:
- আহলান প্রোডাক্টস
- আহলান এ্যাগ্রো
- এসএমএস এ্যাগ্রো
- বিফওয়ালা রেষ্টুরেন্ট
- আহলান ক্যাটারিং
- জোশ গিয়ার ও
- ব্যাগেজিং
- আহলান ফাউন্ডেশন
১। আহলান প্রোডাক্টস:
আহলান প্রোডাক্টস এর মাধ্যমে ২০১৫ সালে আহলান কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু। একদিক দিয়ে আহলান কর্পোরেশনের মূল বা আদি ব্যবসা হলো আহলান প্রোডাক্টস। হলুদের গুড়া ও মরিচের গুড়া, মাত্র এই দুইটি পণ্য দিয়ে আহলান প্রোডাক্টসের যাত্রা শুরু হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই প্রোডাক্ট লাইন বাড়তে থাকে। বর্তমানে মধু, সরিষার তেল, ঘি, কালিজিরার তেল, নারিকেল তেল, গুড় সহ প্রায় শতাধিক পণ্য রয়েছে আহলান প্রোডাক্টসের অধীনে।
২। আহলান এ্যাগ্রো:
গ্রাহকদের গ্রোথ হরমোন, স্টেরয়েড, এন্টিবায়োটিকমুক্ত, নিরোগ, দেশাল ষাড় গরু সরবরাহের লক্ষ্যে ২০২১ সালে আহলান এগ্রো যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শুরুর প্রথম বছরেই আহলানের অন্যান্য পণ্যের মতো কুরবানির গরুগুলোও গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে। প্রথম বছর সাময়িক একটি শেড ভাড়া করার মাধ্যমে আহলান সীমিত আকারে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। কুরবানি প্রজেক্ট শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আরও বড় পরিসরে ব্যবসা করার লক্ষ্যে আহলান ঢাকার বসিলায় একটি স্থায়ী শেড গ্রহণ করে এবং তখন থেকে অদ্যাবধি বছরব্যাপি নিরাপদ গরুর মাংস সরবরাহের ব্যবসা শুরু করে এবং পাঁচটি কুরবানির ঈদে সফলভাবে কুরবানির গরু, কশাই সার্ভিস, ছাগল ও ভাগা সার্ভিস প্রদান করে এবং গ্রাহকদের নিকট থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে।
৩। এসএমএস এ্যাগ্রো:
আহলান কর্পোরেশনের গরুর খাদ্যের উদ্যোগ হলো এসএমএস এ্যাগ্রো। আহলান এ্যাগ্রো খামারের গরুর প্রধান যে খাদ্য, ভুট্টার সাইলেজ, সেটি উৎপাদন করে এসএমএস এ্যাগ্রো। নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদনের কারণে একদিকে যেমন কোয়ালিটিফুল গরুর খাবার পাওয়া যায়, অপরদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থেরও সাশ্রয় হয়। এসএমএস এ্যাগ্রোর উৎপাদিত সাইলেজ দিয়ে আপাতত নিজেদের গরুর খাবার নিজেরাই যোগান দিলেও অদুর ভবিষ্যতে উৎপাদিত সাইলেজ বাইরেও বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। লম
৪। বিফওয়ালা রেষ্টুরেন্ট:
বর্তমানে যে অনলি বিফ রেষ্টুরেন্ট মুভমেন্ট চলমান রয়েছে তার পাইওনিয়র ধরা যায় বিফওয়ালা রেস্টুরেন্টকে। নো বিফ রেস্টুরেন্টের বিপরীতে গরু খাওয়া আন্দোলনকে বেগবান করতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকার বসিলাতে বিফওয়ালা রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু। আহলান এ্যাগ্রোর নিজস্ব গরুর মাংস এবং আহলান এ্যাগ্রোর বিশুদ্ধ কাঁচামাল দিয়ে অভিজ্ঞ বাবুর্চির মাধ্যমে লাকড়ির চুলায় রান্না করা বিফওয়ালার গরুর মাংস অতি দ্রুত ভোজনপ্রেমীদের রসনাকে পরিতৃপ্ত করে। বিফওয়ালার বিপুল সাড়ার কারণে ২০২৪ সালেই আরেকটি শাখা উন্মুক্ত করা হয় বসিলাতে যা বর্তমানে রি-ব্রান্ডিং করে ফিলিস্তিন ক্যাফে নামে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিফওয়ালা থাকার কারণে এ্যাগ্রো বা আহলান প্রোডাক্টসে উৎপাদিত পণ্য কনস্যুমে কোন বেগ পেতে হয় না। কোন ধরণের মার্কেটিং খরচ ছাড়াই উৎপাদিত পণ্যসমূহ সর্ব্বোচ্চ খুচরা মূল্যে ভ্যালু এডিসনের মাধ্যমে খুচরা কাস্টমারের কাছে পৌছানো যাচ্ছে।
৫। আহলান ক্যাটারিং:
বিফওয়ালা রেস্টুরেন্টের এক্সটেনশন বলা যায় আহলান ক্যাটারিংকে। বাসা বাড়ি, অফিস এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্যাটারিং সার্ভিস প্রদানের জন্য আহলান ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
৬। জোশ গিয়ার:
আহলান কর্পোরেশনের লাইফ স্টাইল ব্রান্ড হলো জোশ গিয়ার। ২০১৮ সালে এই ব্রান্ডটির যাত্রা শুরু হয়। নিজস্ব প্রোডাকশন এবং শুরুতে অনলাইন, পরবর্তীতে অফলাইন স্টোরের মাধ্যমে জোশ গিয়ার এগিয়ে চলে দ্রুতগতিতে। মূলত টিশার্ট এবং পারফিউম নিয়ে কাজ করা হয় এই ব্রান্ডের অধীনে। কোভিড মহামারীর সময় জোশ গিয়ারের শোরুম বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে জোশ গিয়ার সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে বর্তমানে এটিকে আবারও পুনর্জাগরনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কর্পোরেট অর্ডারের পাশাপাশি খুচরা অর্ডারও গ্রহণ করা হবে জোশ গিয়ারের মাধ্যমে।
৭। ব্যাগেজিং:
আহলান কর্পোরেশনের পুরনো এবং সবচেয়ে স্ট্যাবল ব্যবসাসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাগেজিং। নন ওভেন টিস্যু ব্যাগ উৎপাদনের উদ্যোগ হলো ব্যাগেজিং। বর্তমানে ব্যাগেজিং এর বেশ ভালো একটি বিটুবি কাস্টমার বেইস রয়েছে। কুপারস, সিক্রেট রেসিপি, সেভেন রিংস সিমেন্ট, থ্রি রিংস সিমেন্ট, আল্ট্রাটেক সিমেন্ট, অসংখ্য ফার্মাসিউটিকালসসহ বহু নামকরা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাগ উৎপাদন করেছে ব্যাগেজিং যা এখনো চলমান রয়েছে।
৮। আহলান ফাউন্ডেশন:
আহলান ফাউন্ডেশন হলো আহলানের কর্পোরেশনের চ্যারিটি উদ্যোগ। কম্বল বিতরণ, ইফতার বিতরণ, যাকাতভিত্তিক প্রোজেক্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণ ও সংস্কার, চিকিৎসা খরচ নির্বাহ, টিউবওয়েল বিতরণ, কর্দে হাসানাহ, রক্তদানসহ বেশ কিছু চ্যারিটি উদ্যোগ আহলানের সদস্যদের দ্বারা সম্পাদিত হয়ে আসছে। সেই উদ্যোগগুলোকেই এক ছাতার নীচে আনা এবং আরও বেশি সংখ্যক মানুষের নিকট পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগের নাম হলো আহলান ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডার:
আহলান একটি সোল প্রোপ্রাইটরশিপ প্রতিষ্ঠান। আহলানের যাত্রা শুরু হয় সাগর হাসনাত এর হাত ধরে। আইবিএ, জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করে তিনি দীর্ঘদিন একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকরী ছেড়ে এখন পুরো সময় তিনি আহলানকে গড়ে তোলার পেছনে ব্যয় করছেন। একাডেমিক ও পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিজনেস হওয়ার কারণে ব্যবসার প্রতি রয়েছে তার তীব্র আগ্রহ। এই আগ্রহ ও অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের শতভাগ তিনি প্ৰদান করছেন আহলানকে গড়ে তোলার পেছনে।
আহলানের কিছু শক্তিশালী দিক:
- ঢাকার বসিলাতে প্রায় ১০ কাঠার লিজ নেয়া জমিতে আহলান কর্পোরেশনের অফিস ও কারখানা অবস্থিত যার এক পাশে গরুর শেড রয়েছে যেখানে প্রায় ১২০ টি গরু লালন-পালনের সুযোগ রয়েছে, আরেক পাশে রয়েছে ব্যাগের সেটআপ, সাথেই রয়েছে আহলানের হেড অফিস এবং আহলান প্রোডাক্টসের ডিসপ্লে সেন্টার। বিফওয়ালার কিচেন ও মূল শাখাটিও এখানে অবস্থিত।
- একসাথে ১০০-১২০ টি গরু লালন-পালনের যে অভিজ্ঞতা, সাহস ও জনবলের প্রয়োজন সেটিও আহলানের রয়েছে।
- রংপুরে ছাগল লালন-পালনের জন্য আহলানের সেট-আপ রয়েছে।
- আহলানের নিজস্ব শক্তিশালী কশাই টিম রয়েছে যা আহলানের অনেক সময়, শ্রম, অর্থ ও মাংসের চুরি রোধ করে।
- নীলফামারীতে আহলানের নিজস্ব গরুর খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
- আহলান খুবই “লিন স্ট্রাকচার" ফলো করে খুবই কম খরচে ফার্মিং করে এবং আহলানের ডাইভার্সিফাইড ব্যবসা আহলানের ফিক্সড খরচ কমাতে সাহায্য করে।
- গরু সাপ্লাই দেবার জন্য সাপ্লায়ার এন্ডে দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, গাবতলী এবং গাজীপুরের গরুর ব্যাপারিদের সাথে আহলানের শক্তিশালী কানেকশন রয়েছে।
- প্রায় ১৩০০ জনের একটি শক্তিশালী, লয়্যাল বিটুসি কাস্টমার বেইস রয়েছে আহলানের।
- যারা প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ খাবারের ব্যবসা করে এরকম ব্যবসায়ীদের সাথেও আহলানের খুবই ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। বিগত দিনগুলোতে খাসফুড, সবুজ উদ্যোগ, সিজন বেস্ট, আসল ফুড, রকমারী ফুড, ইনসাফ শপ, সেইফ ফুড, বেষ্ট বাজার, বারাকাহ শপ, কাহফ, নাহিদ হানিতে এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে আহলান মাংস সরবরাহ করেছে।
- আহলান কর্পোরেশনের নিজস্ব আউটলেট, ডেলিভারি চ্যানেল, ওয়েবসাইট, এ্যাপ, কল সেন্টার, ফেসবুক পেইজ ইত্যাদি আহলান এগ্রোর জন্য অনেক বড় এ্যাসেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে আহলান কর্পোরেশনের লক্ষ্যমাত্রা:
২০২৫-২৬ সালে আহলান কর্পোরেশনর লক্ষ্যমাত্রা হলো প্রফিটেবল গ্রোথ অর্জন। এছাড়াও অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রাসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- শ্যামলী, মোহাম্মদ, ধানমন্ডি অথবা মিরপুরের মেইন লোকেশনে বিফওয়ালার অন্তত একটি শাখা খোলা
- আহলান এ্যাগ্রোতে ডেইরী ইউনিট খোলা
- ডেইরী ইউনিট এবং ফ্যাটেনিং ইউনিটের ভ্যালু এ্যাডেড প্রোডাক্ট লাইন বাড়ানো, যেমন, দই, মিষ্টি, ফিরনি, ঘি, মাঠা, বোরহানি, কাঁচা মাংস, রান্না করা মাংস ইত্যাদি
- জোশ গিয়ার ও ব্যাগেজিং এর জন্য ডিরেক্ট কর্পোরেট সেলসে ফোকাস করা
- আহলান কর্পোরেশনের সেলস ও প্রোডাক্ট লাইন ইম্প্রুভ করা
- অনলাইনে গরু বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করা
- আহলান ফাউন্ডেশনের কর্মকান্ডে গতি আনয়ন
বিনিয়োগ পদ্ধতি:
আহলান বিনিয়োগকারীদের নিকট থেকে বছর ব্যাপি বাই মুরাবাহা পদ্ধতিতে বিনিয়োগ গ্রহণ করে থাকে। বাই মুরাবাহা হলো ইসলামিক অর্থনীতির একটি প্রসিদ্ধ ও বহুল প্রচলিত বিনিয়োগ পদ্ধতি। ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝখানে বিনিয়োগকারী আরেকটি অংশ হিসেবে যুক্ত হবে। এ পদ্ধতিতে মুনাফার হার নির্দিষ্ট করে নেয়া যায়।
উদাহরণস্বরুপ বলা যায়, আহলান ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গরুর হাট থেকে গরু কিনবে বিক্রেতার নিকট থেকে। বাই মুরাবাহা পদ্ধতিতে বিনিয়োগকারি গরু বিক্রেতার নিকট হতে ৫০ হাজার টাকায় গরুটি কিনে পূর্ব থেকে নির্ধারিত মুনাফার হারে, ধরে নেয়া যাক, ৫৫ হাজার টাকায় ছয়মাসের বাকিতে আহলানের নিকট বিক্রি করে দিবে। ছয়মাস পর আহলান বিনিয়োগকারিকে ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে দিতে বাধ্য থাকবে, ব্যবসার পরিস্থিতি যা-ই হোক, লাভ হোক বা লস হোক। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারি সরাসরি হাটে না গিয়ে গরু ক্রয়ের জন্য আহলানকে বা অন্য যে কাউকে এজেন্ট নিয়োগ করতে পারে।
বাই মুরাবাহা বিনিয়োগকারিবান্ধব বিনিয়োগ পদ্ধতি। এতে বিনিয়োগকারীগণ যে সকল সুবিধা পেয়ে থাকেন:
- মুনাফা বা ROI নির্দিষ্ট করে নেয়া যায়
- ব্যবসার পরিস্থিতি যা-ই হোক বিনিয়োগ গ্রহীতা বিনিয়োগকারীকে মুনাফাসহ মূল অংশ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে
- কোন অনিশ্চয়তা নেই
- সময়ের ফ্লেক্সিবিলিটি। ন্যুনতম ছয়মাস থেকে উর্দ্বে যেকোন সময় বিনিয়োগকৃত অর্থ রেখে দেয়া যেতে পারে।
- শর্তসাপেক্ষে প্রোজেক্টের মাঝখানেও অর্থ উত্তোলন করা যায়।
বাই মুরাবাহা পদ্ধতিতে ইনভেস্টমেন্টের মেয়াদ ও মুনাফার বিস্তারিত:
- বিনিয়োগের সময়কাল: ন্যুনতম ছয়মাস থেকে উর্দ্বে যেকোন সময়
- বিনিয়োগের পরিমাণ: ন্যুনতম ৩০ হাজার টাকা থেকে উর্দ্বে যেকোন এমাউন্ট
- ইনভেস্টরের ROI (বাৎসরিক): ১৮%
উদাহরণস্বরুপ বলা যায়, কেউ যদি ৩০ হাজার টাকা ছয়মাস বিনিয়োগ করতে চায়, তবে আহলান তার নিকট হতে ৩০ হাজার টাকার পণ্য ছয়মাসের বাকিতে ৩২৭০০/- টাকায় ক্রয় করবে এবং ছয়মাস পর আহলান বিনিয়োগকারীকে ৩২,৭০০/- টাকা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।
বাই মুরাবাহা পদ্ধতিতে ক্রয়কৃত পণ্যসমূহ:
আহলান কর্পোরেশনের যেকোন পণ্য কেনাকাটা বিনিয়োগকারীর পক্ষ থেকে আহলান ক্রয় করবে, যেমন গরু, ছাগল, গরু-ছাগলের খাবার, আহলান প্রোডাক্টস, বিফওয়ালা, ব্যাগেজিং ও জোশ গিয়ারের জিনিসপত্র, কন্সট্রাকশন ম্যাটারিয়ালস ইত্যাদি।
বিনিয়োগের নিরাপত্তা:
বাই মুরাবাহা বিনিয়োগ পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের নিরাপত্তার জন্য বিনিয়োগকারীর নিকট নিম্নোক্ত সিকিউরিটি ইন্সট্রুমেন্ট বিদ্যমান থাকবে:
- ই-রিসিপ্ট প্রদান করা হবে যা উভয় পক্ষের মধ্যকার চুক্তি হিসেবে পরিগণিত হবে।
- শর্তসাপেক্ষে বিনিয়োগ মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখে বিনিয়োগকৃত অর্থের একটি ব্যাংক চেক প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য যে, ব্যাংক চেক একটি শক্তিশালী ইন্সট্রুমেন্ট যা ডিজওনার হলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে মামলা করা যায়।
- শর্তসাপেক্ষে ৩০০ টাকার দলিলে উভয় পক্ষের চুক্তি সাক্ষরিত হবে। (দলিল প্রস্তুত, প্রিন্ট, দলিল কেনা ও ট্রান্সপোর্ট খরচ বাবদ প্রতিটি দলিল ও চেকের জন্য ৭০০/- টাকা করে বিনিয়োগকারীকে প্রদান করতে হবে।
- আহলানের ব্রান্ডভ্যালু। দীর্ঘদিন তিল তিল করে গড়া আহলানের ব্রান্ডভ্যালু আলান কোনভাবেই চাইবে না কোন আর্থিক কেলেঙ্কারীর কারণে নষ্ট হোক।
- আহলানের ফাউন্ডারের পারসোনাল ব্রান্ডভ্যালু। পুরো বিনিয়োগ প্রক্রিয়াটি আহলানের ফাউন্ডার সাগর হাসনাতের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। কোন আর্থিক কারণে দীর্ঘদিনের কষ্টে অর্জিত ব্রান্ডভ্যালু ক্ষতি করতে কেউই আগ্রহী হবে না।
লেনদেনের স্বচ্ছতা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার সহজলভ্যতা সত্ত্বেও আহলান ইসলামিক বিনিয়োগ পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। কারণ, ইসলামিক শরীয়াহ মেনে চলার পাশাপাশি আহলান চায় না যে, কোন ব্যাংকিং লেনদেনের কারণে কেউ আল্লাহর নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে। আহলানের কাজ কর্মের মূল লক্ষ্য হলো, বিনিয়োগকারীদের অর্থ যেন সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং তারা যেন সুদমুক্ত ও হালাল উপার্জনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। “আহলান” আশা করে যে, এই পবিত্র উদ্দেশ্য বিনিয়োগকারীদের মন ও আত্মাকে সন্তুষ্টি দেবে এবং “আহলান” এর সাথে সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
উপসংহার:
লেনদেনের ভলিয়্যুম ও কানেকশনের কারণে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে আহলান সহজেই বিনিয়োগ গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সুদের মতো মারাত্মক একটি গুণাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য আহলান ইসলামিক বিনিয়োগ পদ্ধতিতে বিনিয়োগ গ্রহণ করে থাকে। হালাল উপাজর্নের এ প্রচেষ্টায় কোন ব্যাড প্রাকটিস ও খেয়ানতের কারণে আহলান সংশ্লিষ্ট কেউই তাদের আখিরাত নষ্ট করতে আগ্রহী নয়। আহলান জ্ঞাতসারে কখনও কারও এক পয়সা অন্যথা হতে দিবে না। "আহলান কর্পোরেশন” শুধু মুনাফা অর্জনের কোন প্রোজেক্ট নয়, বরং এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে মুনাফার পাশাপাশি সমাজে যাতে ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটে সেটাই উদ্দেশ্য। আল্লাহ যেন এই প্রোজেক্ট সংশ্লিষ্ট সকলকে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম করেন এবং “আহলান কর্পোরেশন” এ বারাকাহ প্রদান করেন। আমিন।।