
ব্যাবসা পরিচিতি
আহলান দেশের অনলাইন বিজনেস কমিউনিটির একটি পরিচিত নাম। ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে আহলান অদ্যাবধি সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে বিশুদ্ধ খাবার সরবরাহের ব্যবসার সাথে যুক্ত। দীর্ঘদিনের পথচলায় আহলান অর্জন করেছে গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসা। নগদ লাভের চেয়ে সকলের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদে সফলতা অর্জনই আহলানের লক্ষ্য।
গ্রাহকদের গ্রোথ হরমোন, স্টেরয়েড, এন্টিবায়োটিকমুক্ত, নিরোগ, দেশাল ষাড় গরু সরবরাহের লক্ষ্যে ২০২১ সালে আহলান এগ্রো যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শুরুর প্রথম বছরেই আহলানের অন্যান্য পণ্যের মতো কুরবানির গরুগুলোও গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে। প্রথম বছর সাময়িক একটি শেড ভাড়া করার মাধ্যমে আহলান সীমিত আকারে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। কুরবানি প্রজেক্ট শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আরও বড় পরিসরে ব্যবসা করার লক্ষ্যে আহলান ঢাকার বসিলায় একটি স্থায়ী শেড গ্রহণ করে এবং তখন থেকে অদ্যাবধি বছরব্যাপি নিরাপদ গরুর মাংস সরবরাহের ব্যবসা শুরু করে এবং পাঁচটি কুরবানির ঈদে সফলভাবে কুরবানির গরু, কশাই সার্ভিস, ছাগল ও ভাগা সার্ভিস প্রদান করে এবং গ্রাহকদের নিকট থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে।
আহলান এ্যাগ্রো একটি সোল প্রোপ্রাইটরশিপ প্রতিষ্ঠান। আহলান এ্যাগ্রোর যাত্রা শুরু হয় সাগর হাসনাত এর হাত ধরে। আইবিএ, জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করে তিনি দীর্ঘদিন একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকরী ছেড়ে এখন পুরো সময় তিনি আহলানকে গড়ে তোলার পেছনে ব্যয় করছেন। একাডেমিক ও পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিজনেস হওয়ার কারণে ব্যবসার প্রতি রয়েছে তার তীব্র আগ্রহ। এই আগ্রহ ও অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের শতভাগ তিনি প্ৰদান করছেন আহলানকে গড়ে তোলার পেছনে।
গরুর ব্যবসা একটি লাভজনক এবং চাহিদাসম্পন্ন ব্যবসা হলেও এ ব্যবসা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে। সঠিক বিনিয়োগ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেক খামার বন্ধ করে দিতে হয় এবং অনেক ব্যবসায়ী পথে বসে যায়। আমাদের অভিজ্ঞতায় এ ব্যবসায় সফল হতে হলে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন:
- বছরব্যাপি নিয়মিত ক্যাশফ্লো
- সঠিক ব্যবস্থাপনা
- মজবুত কাস্টমার ভিত্তি
এ তিনটি জায়গায় ফোকাস করার জন্য আহলান অন্যান্য এগ্রোর মতো শুধুমাত্র কুরবানিকেন্দ্রিক ব্যবসা করার পরিবর্তে বছরব্যাপি ক্যাশফ্লো নিশ্চিতের জন্য ভ্যালু অ্যাডেড প্রোডাক্ট হিসেবে মাংস উৎপাদন করে আসছে। আহলানে সাধারণত দুটি লটে গরু পালন করা হয়: এক — কুরবানির ঈদের পর থেকে পরবর্তী ঈদুল ফিতর পর্যন্ত মাংসের জন্য গরু; দুই — কুরবানির ঈদের ছয় মাস পূর্ব হতে কুরবানির জন্য গরু। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে পরীক্ষামূলকভাবে আহলান এ্যাগ্রোর ডেইরী ইউনিট চালু হয়েছে যার কলেবর সামনের দিনগুলোতে আরও বড় করা হবে।
বর্তমানে আহলান এ্যাগ্রোতে পাঁচ ধরণের পণ্য ও সেবা রয়েছে:
- কুরবানি সেবা (লাইভ গরু, ছাগল, কশাই সার্ভিস, ভাগা সার্ভিস ও হোম ডেলিভারি)
- বছরব্যাপী মাংস
- দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য
- আকিকাহ ও সাদাকাহ সেবা
- বছরব্যাপী কশাই সেবা
আহলান এ্যাগ্রোর পণ্য বিক্রয়ের চ্যানেলসমূহ
২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা আহলান প্রোডাক্টস এর প্রায় সহস্রাধিক নিয়মিত ক্লায়েন্ট রয়েছে। আহলান এ্যাগ্রোতে উৎপাদিত মাংস, দুধ ও ভ্যালু এ্যাডেড প্রোডাক্টের বড় একটা অংশ এই নিয়মিত ক্লায়েন্টদের মাঝে বিক্রি করা হয়। এ্যাগ্রোর উৎপাদিত পণ্য বাইরে বিক্রির জন্য কোন আলাদা এ্যাফোর্ট ও আলাদা খরচ করার প্রয়োজন পড়ে না। একদম জিরো এ্যাড খরচে এ্যাগ্রোর পণ্যসমূহ আহলান প্রোডাক্টর এর মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, যেকোন এ্যাগ্রোর জন্য প্রধানতম চ্যালেঞ্চ হলো উৎপাদিত পণ্যসমূহ ভালো দামে এ্যান্ড কাস্টমারের কাছে বিক্রয় করা। আলহামদুলিল্লাহ, আহলান এ্যাগ্রো সেই চ্যালেঞ্জ থেকে মুক্ত।
২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে যাত্রা শুরু হয় আহলানের নতুন ভেঞ্চার “বিফওয়ালা”। বিফওয়ালাতে আহলান এ্যাগ্রোর গরুর মাংস রান্না করে গ্রাহকদের নিকট সরবরাহ করা হয়। যাত্রা শুরুর আট মাসের মাথায় বিফওয়ালার দ্বিতীয় ব্রাঞ্চের উদ্বোধন করা হয় এবং দ্বিতীয় বর্ষে এসে আরেকটি ব্রাঞ্চ খোলা হচ্ছে। এ্যাগ্রো, কাঁচা মাংস বিক্রি এবং বিফওয়ালা নিয়ে আহলান এমনভাবে এগুচ্ছে যাতে এ্যাগ্রোতে উৎপাদিত গরুর মাংস বিক্রির জন্য বাইরের কারও দারস্থ হতে না হয়। তিনটি ব্রাঞ্চ মিলিয়ে বিফওয়ালার লক্ষ্যমাত্রা হলো প্রতিদিন একটি করে গরুর মাংস বিক্রি। প্রতিদিন একটি করে গরু বিক্রি হলে শুধুমাত্র বিফওয়ালাতেই বছরে ৩.৫- ৪ কোটি টাকার গরু বিক্রি করা সম্ভব আহলান এ্যাগ্রোর।
আহলান এ্যাগ্রোতে দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য ও মাংস বিক্রির জন্য সেলস পয়েন্ট রয়েছে। বর্তমানে এই আউটলেটগুলো থেকে কাস্টমাররা এসে পন্য কিনে নিয়ে যায় এবং কোন এ্যাড খরচ ছাড়াই এই সেলগুলো সম্পাদন করা যায়। স্পট সেলস এ আগত কাস্টমারসমূহকে রেগুলার কাস্টমারে কনভার্ট করা হয়।
আহলান এ্যাগ্রো থেকে খাসফুড, রকমারি ফুড, আসল ফুড, ইনসাফসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে গরুর মাংস সরবরাহ করা হয়েছে। হোটেল ওয়েস্টিনসহ বেশ কিছু ফাইভ স্টার হোটেলে স্টেক সরবরাহের সুযোগ আমাদের কাছে রয়েছে। আহলান এ্যাগ্রোতে একটি আধুনিক স্লটারিং হাউস নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। স্লটারিং হাউজ নির্মাণ হলে এবং পর্যাপ্ত ক্যাশ ফ্লো থাকলে কর্পোরেট জগতে প্রচুর সেল বৃদ্ধি করা সম্ভব।
আকিকাহ ও সাদাকাহ সেবা আমরা এগ্রো থেকে আকিকা সার্ভিস দিয়ে থাকি। প্রতি মাসে এভারেজ ৩-৪ টি আকিকা সম্পাদন করা হয়। এ সার্ভিসটির ব্যাপক পটেনশিয়ালস আছে। কুরবানি দেয়া, কশাই সার্ভিস, মাংষ বিতরণ, গরীব মানুষদের রান্না করে খাওয়ানো- আকিকা ও সাদাকাহ’র পুরো ৩৬০ ডিগ্রী সার্ভিস রয়েছে আহলান এ্যাগ্রোর।
নয়নাভিরাম পরিবেশে নদীর পাড়ে ঢাকা থেকে অনতিদূরে আহলান এ্যাগ্রোর স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকার একদম কাছাকাছি হওয়ায় এবং মনোরম পরিবেশ হবার কারণে এ্যাগ্রোতে গরু লালন পালনের পাশাপাশি ট্যুরিষ্ট আকর্ষণ করা সম্ভব হবে। দিন দিন কৃষির প্রতি শহুরে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এ্যাগ্রোতে নিয়মিত কৃষি প্রশিক্ষণ, এ্যাগ্রো ট্যুরিজম ও রিভার ক্রুসিং এর মাধ্যমে একদিকে যেমন বাড়তি আয় করা সম্ভব, অপরদিকে গরু ও গরুজাত পণ্যেরও ডিরেক্ট কাস্টমার সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
এক নজরে পাঁচ বছরে আহলান এ্যাগ্রোর ব্যবসায়ীক গ্রোথ
যেহেতু আহলান এ্যাগ্রো ফ্যাটেনিং বা ষাড় গরুর খামার, তাই আহলান এ্যাগ্রোর রেভিনিউ এর মূল অংশই আসে কুরবানি থেকে। যদিও কুরবানি ছাড়াও মাংস বিক্রি বাবদ আহলানে ভালো একটা রেভিনিউ আসে, তথাপি উল্লেখযোগ্য বিবেচনায় আহলান এ্যাগ্রোর বিগত পাঁচ বছরের কুরবানির হিস্টরী নিম্নে বর্নিত হলো



১। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে আল্লাহর অশেষ রহমতে কুরবানির ঈদে আহলানের কিছু অর্জন:
- প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার রেভিনিউ অর্জন
- মোট ৫৯ টি গরু বিক্রয়
- মোট ৩৩ টি ছাগল বিক্রয়
- ঈদের দিন ৩১ টি গরু ও ২৫ টি ছাগলের কশাই সেবা
- ১২ টি গরু ভাগার মাধ্যমে বিক্রয়
- ১। ঢাকার বসিলাতে প্রায় ১০ কাঠার লিজ নেয়া জমিতে আহলানের গরুর শেষ রয়েছে যেখানে প্রায় ১২০ টি গরু লালন-পালনের সুযোগ রয়েছে।
- ২। শুধু ক্যাপাসিটিই নয়, একসাথে ১০০-১২০ টি গরু লালন-পালনের যে অভিজ্ঞতা, সাহস ও জনবলের প্রয়োজন সেটিও আহলানের রয়েছে।
- ৩। রংপুরে ছাগল লালন-পালনের জন্য আহলানের সেট-আপ রয়েছে।
- ৪। আহলানের নিজস্ব শক্তিশালী কশাই টিম রয়েছে যা আহলানের অনেক সময়, শ্রম, অর্থ ও মাংসের চুরি রোধ করে।
- ৫। নীলফামারীতে আহলানের নিজস্ব গরুর খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
- ৬। আহলান খুবই “লিন স্ট্রাকচার" ফলো করে খুবই কম খরচে ফার্মিং করে এবং আহলানের ডাইভার্সিফাইড ব্যবসা আহলানের ফিক্সড খরচ কমাতে সাহায্য করে।
- ৭। গরু সাপ্লাই দেবার জন্য সাপ্লায়ার এন্ডে দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, গাবতলী এবং গাজীপুরের গরুর ব্যাপারিদের সাথে আহলানের শক্তিশালী কানেকশন রয়েছে।
- ৮। প্রায় ১৩০০ জনের একটি শক্তিশালী, লয়্যাল বিটুসি কাস্টমার বেইস রয়েছে আহলানের।
- ৯। যারা প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ খাবারের ব্যবসা করে এরকম ব্যবসায়ীদের সাথেও আহলানের খুবই ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। বিগত দিনগুলোতে খাসফুড, সবুজ উদ্যোগ, সিজন বেস্ট, আসল ফুড, রকমারী ফুড, ইনসাফ শপ, সেইফ ফুড, বেষ্ট বাজার, বারাকাহ শপ, কাহফ, নাহিদ হানিতে এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে আহলান মাংস সরবরাহ করেছে।
- ১০। আহলান কর্পোরেশনের নিজস্ব আউটলেট, ডেলিভারি চ্যানেল, ওয়েবসাইট, এ্যাপ, কল সেন্টার, ফেসবুক পেইজ ইত্যাদি আহলান এগ্রোর জন্য অনেক বড় এ্যাসেট।
- ১১। ঢাকার অনতিদূরে নিজস্ব জমিতে আহলান এ্যাগ্রোর স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আহলান এ্যাগ্রোর ব্যবসা এবং রেভিনিউ শোনার পরে সবার প্রথম যে জিজ্ঞাসা পাওয়া যায় সেটি হলো আহলান কত প্রফিট করেছে বিগত বছরগুলোতে। রেভিনিউ শোনার পর এ প্রশ্নটা আসাটাই স্বাভাবিক। প্রফিটের বিষয়ে আহলানের বক্তব্য হলো:
- প্রথমত , গত পাঁচ বছরে মুনাফা অর্জন করা আহলানের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিলো না। যেহেতু গরুর ব্যবসা খুবই টেকনিকাল, রিস্কি এবং ক্যাপিটাল ইন্টেন্সিভ ব্যবসা, তাই বিগত পাঁচ বছরে আহলানের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিলো ব্যবসাটা শেখা, আয়ত্বে আনা এবং ইকোসিস্টেম বিল্ডআপ করা, যেটাতে আহলান সফল এবং শতভাগ লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে মনে করে। সে হিসেবে আহলান প্রফিটটাকে কোয়ান্টিটিভ বিবেচনা না করে কোয়ালিটিটিভ বিবেচনা করছে এবং সে হিসেবে আহলান প্রফিটে রয়েছে।
- দ্বিতীয়ত, লিন মডেলে চলার কারণে আহলানে রেগুলার একাউন্টেন্ট এতোদিন ছিলো না এবং ফাউন্ডার নিজেই একাউন্টস দেখাশুনা করতেন। আহলানের ডাইভার্সিফাইড ব্যবসা এবং ফাউন্ডার চাকরীর সাথে যুক্ত থাকায় আলাদা করে আহলান এগ্রোর খরচ হিসেব করার সুযোগ হয় নি, সব এক জায়গা থেকেই নির্বাহ করা হয়েছে। তাই রেভিনিউয়ের সকল তথ্য সংরক্ষণ করা হলেও এগ্রোর খরচ আলাদা করে বের করার সুযোগ হয় নি। তবে এ অর্থবছর থেকে আলাদা এবং যথাযথভাবে হিসেব সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
- তৃতীয়ত, আহলান এগ্রোর প্রাথমিক প্রোডাক্ট হলো কুরবানি কেন্দ্রিক, সেকেন্ডারী হলো বছরব্যাপী মাংস ও অন্যান্য সেবা। প্রাথমিক প্রোডাক্ট অর্থ্যাৎ কুরবানিকেন্দ্রিক ব্যবসার ক্ষেত্রে আহলান শতভাগ সফল এবং প্রফিটেবল। তবে বিগত বছরে মাংসের ক্ষেত্রে কাষ্টমার একুইজিশন করার জন্য বাজারদরে মাংস বিক্রি করে আহলান কিছুটা ক্যাশ বার্ন করেছে যেটাকে ‘ইনিশিয়াল কাস্টমার একুইজিশন কস্ট' ধরা যায়। তবে এবছর আহলান সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাংস হোক বা কুরবানি, প্রফিট ছাড়া আহলান ব্যবসা করবে না। এজন্য গ্রোথের অনেক সুযোগ থাকার পরও আহলান প্রফিটেবল গ্রোথের প্রতি ফোকাস করেছে এবং শেড শেয়ারিং, হিউম্যান রিসোর্স শেয়ারিং এর মাধ্যমে ফিক্সড খরচ আরও কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে যেটা আহলানকে আরও প্রফিটেবল করবে বলে আশাবাদী।
- চতুর্থত, বিগত পাঁচবছরে শেড নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি ক্রয়বাবদ বড় ধরণের বিনিয়োগ করা হয়েছে, একারণে প্রফিটের পরিমাণও কম হয়েছে। এবছর আহলান এ্যাগ্রোতে তেমন বড় কোন কেনাকাটা বা শেড নির্মাণের পরিকল্পনা নেই। তাই আশা করা যায়, এবছর প্রফিটের পরিমাণ অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক বেশি হবে, ইন শা আল্লাহ।
সামনের দিনগুলোতে আহলান এ্যাগ্রোর ব্যবসায়ীক লক্ষ্যমাত্রা
- ১। কুরবানি কেন্দ্রিক ব্যবসা
- ২। মাংস বিক্রয়
- ৩। দুধ ও দুগ্ধজাত পন্য বিক্রয়
- ৪। এ্যাগ্রো টুরিজম থেকে আয়
- ৫। আকিকা ও সাদাকাহ সার্ভিস
১। কুরবানি কেন্দ্রিক ব্যবসা
২০২৫-২৬ সালের কুরবানির ঈদে আহলানের লক্ষ্যমাত্রা:
২০২৫ সালে আহলান এ্যাগ্রোর লক্ষ্যমাত্রা হলো প্রফিটেবল গ্রোথ অর্জন, সংখ্যার হিসেবে যা এক কোটি নব্বই লক্ষ টাকা রেভিনিউ অর্জন এবং ৩৩ লক্ষ টাকা নেট প্রফিট অর্জন। রেভিনিউ এর মধ্যে
- ১.৬ কোটি টাকা আসবে আস্ত গরু থেকে
- ২০ লক্ষ টাকা আসবে ভাগা সার্ভিসের মাধ্যমে
- ৬ লক্ষ টাকা ছাগল বিক্রির মাধ্যমে
- ৪ লক্ষ টাকা কশাই সার্ভিসের মাধ্যমে।

২০২৬ সালের কুরবানি প্রোজেক্টে এক্সপেক্টেড প্রফিট ও ROI :
আহলান এ্যাগ্রোর সবচেয়ে বড় ব্যবসা হয় কুরবানির ঈদে। বিগত পাঁচ বছরে সুনামের সাথে আহলান কুরবানির গরু সরবরাহ করে আসছে। আস্ত গরু, কশাই সার্ভিস, ভাগা সার্ভিস এবং খাশীর গ্রাহক – সব মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক ইউনিক গ্রাহক রয়েছে আহলানের। গত দুই বছরে ধারাবাহিকভাবে আহলান কোটি টাকার কাছাকাছি কুরবানিতে রেভিনিউ অর্জন করেছে। ২০২৬ সালে এই রেভিনিউকে দুইগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আহলান এ্যাগ্রোর:
এক্সপেকটেড রেভিনিউ:
ক্র. নং | আইটেম | সংখ্যা / মেয়াদ | দর | মোট |
---|---|---|---|---|
১ | গরু বিক্রয় | ১৫০ টি | ১২০,০০০/- | ১,৮০,০০,০০০/- |
২ | ছাগল বিক্রয় | ৩০ টি | ২০,০০০/- | ৬০০,০০০/- |
৩ | কসাই সার্ভিস (গরু) | ৫০ টি | ১২,০০০/- | ৬০,০০,০০০/- |
৪ | কসাই সার্ভিস (ছাগল) | ২০ টি | ২,০০০/- | ৪০,০০০/- |
৫ | হোম ডেলিভারি সার্ভিস | ৩০ টি | ১,০০০/- | ৩০,০০০/- |
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড রেভিনিউ: | ১,৯৪,২০,০০০/- | |||
মোট এক্সপেক্টেড প্রফিট: | ৩৩,২২,০০০/- | |||
এক্সপেকটেড ROI: | ৩৫.৩৮% (বাৎসরিক) |
এক্সপেক্টেড খরচ:
ক্র. নং | আইটেম | সংখ্যা / মেয়াদ | দর | মোট |
---|---|---|---|---|
১ | গরু ক্রয় | ১৫০ টি | ৮০,০০০/- | ১,২০,০০,০০০/- |
২ | ছাগল ক্রয় | ৩০ টি | ১২,০০০/- | ৩৬,০০০/- |
৩ | গরুর খাবার | ৬ মাস (১৫০ টি) | ৩০,০০০/- | ২৭,০০,০০০/- |
৪ | শেড ভাড়া | ৬ মাস | ২০,০০০/- | ১২০,০০০/- |
৫ | স্যালারি | ৬ মাস (৩ জন) | ২০,০০০/- | ৩৬০,০০০/- |
৬ | পানি ও বিদ্যুৎ | ৬ মাস | ৮,০০০/- | ৪৮,০০০/- |
৭ | ওয়েবসাইট, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি | -- | -- | ৫০,০০০/- |
৮ | ঈদের দিন কসাই খরচ | ৫০ গরু | ৮,০০০/- | ৪০০,০০০/- |
৯ | ঈদের দিন সাপোর্ট স্টাফ খরচ | ২০ জন | ১,০০০/- | ২০,০০০/- |
১০ | ঈদের দিন খাওয়ার খরচ | -- | -- | ২০,০০০/- |
১১ | অন্যান্য খরচ | -- | -- | ২০,০০০/- |
মোট খরচ: | ১,৬০,৯৮,০০০/- |
২। মাংস বিক্রয়:
গরুর মাংসের সিজন মূলত ০৮-০৯ মাস। কুরবানির পরবর্তী সময়টি অফ সিজন। এসময় গরুর মাংসের চাহিদা সবচেয়ে কম। এই সময় বাদে বাকি সময় গরুর মাংসের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। বিফওয়ালা এবং খুচরা সেলবাবদ বর্তমানে এ্যাগ্রোতে মাসে ৪-৫ টি গরুর চাহিদা রয়েছে। সে হিসেবে ৮ মাসে ৩২ টি গরু বিক্রি করা সম্ভব। ৩২ টি গরু বাবদ ৪০ লাখ টাকার মতো রেভিনিউ এবং ৪-৫ লক্ষ টাকা প্রফিট করা সম্ভব।
ক্র. নং | আইটেম | সংখ্যা | দর | মোট |
---|---|---|---|---|
১ | গরু ক্রয় | ৩২ টি | ১০০,০০০/- | ৩২,০০,০০০/- |
২ | কসাই বিল | ৩২ টি | ৫,০০০/- | ১,৬০,০০০/- |
৩ | খাবারের খরচ | ৩২ টি | ২,০০০/- | ৬৪,০০০/- |
৪ | শেড খরচ | ৮ মাস | ১০,০০০/- | ৮০,০০০/- |
৫ | স্যালারি | ২ জন | ৮ মাস | ১৬০,০০০/- |
৬ | অন্যান্য খরচ | -- | -- | ১০,০০০/- |
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড খরচ: | ৩৬,৭৪,০০০/- | |||
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড রেভিনিউ: | ৪২,০০,০০০/- | |||
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড প্রফিট: | ৫,২৬,০০০/- |
৩। দুধ ও দুগ্ধজাত পন্য বিক্রয়
বর্তমানে আহলানে প্রতিদিন ন্যুনতম ৫০ কেজি দুধের চাহিদা রয়েছে যা অদূর ভবিষ্যতে চারগুণ, পাঁচগুণ পর্যন্ত করা সম্ভব। যদি বর্তমানের হিসেবও ধরি, প্রতিদিন ৫০০০ হাজার টাকা হিসেবে আগামী ১২ মাসে ১৮ লক্ষ টাকার দুধ বিক্রি করা সম্ভব। এর পাশাপাশি দুগ্ধজাত পন্য যেমন, দই, ঘি, ফিরনি এগুলো বানালে রেভিনিউ ও লাভের পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বাড়ানো সম্ভব। এছাড়াও ০৫ টি গাভি থেকে বছরে ০৫ টি বাছুর পাওয়া যাবে, যার মার্কেট ভ্যালু প্রায় ৪ লক্ষ।
ক্র. নং | আইটেম | সংখ্যা | দর | মোট |
---|---|---|---|---|
১ | গরু ক্রয় | ৫ টি | ২৫০,০০০/- | ১২,৫০,০০০/- |
২ | খাবার খরচ | ৫ টি | ১০,০০০/- | ৬০০,০০০/- |
৩ | শেড খরচ | ১২ মাস | ১০,০০০/- | ১২০,০০০/- |
৪ | স্যালারি | ২ জন | ১২ মাস | ২৪০,০০০/- |
৫ | অন্যান্য খরচ | -- | -- | ১০০,০০০/- |
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড খরচ: | ২২,২০,০০০/- | |||
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড রেভিনিউ: | ১৮,০০,০০০/- | |||
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড প্রফিট: | ১৫,০০,০০০/- |
৪। এ্যাগ্রো টুরিজ্যম থেকে আয়:
ঢাকার একদম কাছে নদীর তীরে আহলান এ্যাগ্রোর স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যেখানে নিয়মিত এ্যা্গ্রো কার্যক্রমের পাশাপাশি কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন ট্রেণিং, এ্যাগ্রো ট্যুরিজম ও রিভার ক্রুজিং করে বাড়তি আয় করা সম্ভব। প্রতিমাসে ১০০ গেস্ট আসলে ১২ মাসে ১২০০ গেস্ট থেকে ন্যুনতম ২০০০ টাকা করে হলেও ২৪ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। এ্যাগ্রো টুরিজম থেকে সরাসরি আয় করার পাশাপাশি কুরবানির গরু ও গরুজাত পণ্যেরও নিয়মিত কাস্টমার পাওয়া সম্ভব হবে, যা কোম্পানির এ্যাড খরচ কমিয়ে আনবে অনেকখানি।
ক্র. নং | আইটেম | সংখ্যা | দর | মোট |
---|---|---|---|---|
১ | খাবার খরচ | ১২০০ | ১০০০/- | ১২,০০,০০০/- |
২ | হাউস খরচ | ১২ মাস | ১০,০০০/- | ১২০,০০০/- |
৩ | স্যালারি | ২ জন | ১২ মাস | ২৮০,০০০/- |
৪ | ইউটিলিটি | ১২ মাস | ৩,০০০/- | ৩৬,০০০/- |
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড খরচ: | ১৫,৯৬,০০০/- | |||
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড রেভিনিউ: | ২৪,০০,০০০/- | |||
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড প্রফিট: | ৮০০,০০০/- |
৫। আকিকা ও সাদাকাহ সার্ভিস
আহলান এ্যাগ্রোতে প্রতিনিয়ত আকিকা ও সাদাকাহ সার্ভিস প্রদান করা হয়। বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে ৪-৫ টি আকিকা ও সাদাকাহ সার্ভিস প্রদান করা হয়। আকিকা ও সাদাকাহ সার্ভিসের কলেবর বৃদ্ধির জন্য ছাগলের খামার ও ডিসপ্লে সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ডিসপ্লে সেন্টার হয়ে গেলে আকিকা ও সাদাকাহ সার্ভিসের পাশাপাশি ছাগলের মাংস বিভিন্ন ক্যাটারিং, অনুষ্ঠান ও অন ডিমান্ডে সরবরাহ করা হবে। প্রতি মাসে গড়ে ৭ টি করে আকিকা সার্ভিস প্রদান করা হলেও বছরে ১২ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব এবং আড়াই লাখ টাকা নেট প্রফিট করা সম্ভব।
ক্রম নং | আইটেম | সংখ্যা | দর | মোট |
---|---|---|---|---|
১ | ছাগল ক্রয় | ৮৪ টি | ১০,০০০/- | ৮,৪০,০০০/- |
২ | খাবার খরচ | ৮৪ টি | ৫০০/- | ৪২,০০০/- |
৪ | শেড খরচ | ১২ মাস | ১৬,০০০/- | ১,৯২,০০০/- |
৫ | স্যালারি | ২ জন | ১২ মাস | ২৪০,০০০/- |
৬ | অন্যান্য খরচ | ১০,০০০/- | ||
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড খরচ: | ১৩,২৪,০০০/- | |||
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড রেভিনিউ: | ১৫,১২,০০০/- | |||
মোট এক্সপেন্ডেক্টেড প্রফিট: | ১,৮৮,০০০/- |
পাঁচটি খাত থেকে বছরে আহলান এ্যাগ্রোর সম্ভাব্য আয় ও মুনাফা:
ক্র. নং | খাত | সংখ্যা | দর | অনুমানিক আয় | অনুমানিক মুনাফা |
---|---|---|---|---|---|
১ | কুরবানী খাত | - | - | ১,৯০,০০,০০০/- | ৩৩,০০,০০০/- |
২ | মাংস বিক্রয় | ৩২ | ১,০০,০০০/- | ৪২,০০,০০০/- | ৫০০,০০০/- |
৩ | দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য | ১৮০০০ লিটার ও বাছুর | ১০০/- | ২২,০০,০০০/- | ৫০০,০০০/- |
৪ | এ্যাগ্রো ট্যুরিজম | ১২০০ গেস্ট | ২০০০/- | ২৪,০০,০০০/- | ৮০০,০০০/- |
৫ | আকিকা ও সাদাকাহ সার্ভিস | ৭ টি | ১৮০০০/- | ১৫,০০,০০০/- | ২,০০,০০০/- |
সর্বমোট: | ২,৯৩,,০০,০০০/- | ৫৪,০০,০০০/- |

১। রেভিনিউ গোল
বর্তমানে আহলান এ্যাগ্রোর বাৎসরিক রেভিনিউ আছে ১.২ কোটি টাকা। আগামী বছর, অর্থ্যাৎ ২০২৬ সালে রেভিনিউ আড়াই গুণ অর্থ্যাৎ প্রায় তিন কোটি টাকা করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আহলান এ্যাগ্রোর বাৎসরিক রেভিনিউ দশ কোটি টাকার লক্ষ্য রয়েছে, ইন শা আল্লাহ।
২। প্রোফিট গোল
২০২৬ সালে আহলান এ্যাগ্রো থেকে ৫০-৬০ লক্ষ টাকা নেট প্রফিট এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাৎসরিক ৩ কোটি টাকা নেট প্রোফিট করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
৩। এ্যাসেট গোল:
নিজস্ব জমি, শেড, এ্যাগ্রো রিসোর্ট, গরু, মেশিনারিজ, যানবাহন ও ব্রান্ডভ্যালু সহকারে আহলান এ্যাগ্রোকে আমরা ১০০ কোটি টাকা ভ্যালুয়েশনের একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই, ইন শা আল্লাহ।
বিগত দুবছর ধরে আহলান এ্যাগ্রো বাৎসরিক ১.২ কোটি টাকা রেভিনিউ অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠান ভ্যালুয়েশনের বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে আমরা যদি সেলস কেন্দ্র করে আহলান এ্যাগ্রোর ভ্যালুয়েশন করি, তা দাড়ায় ১০ কোটি টাকা (ইয়ারলি রেভিনিউয়ের দশগুণ)।
আহলান এ্যাগ্রো প্রতিটি শেয়ারমূল্য ১ লক্ষ টাকা করে মোট ১০০০ টি মালিকানা শেয়ার বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে, যার ৪৯% অর্থ্যাৎ ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার শেয়ার বিক্রি করা হবে, ৫১% শেয়ার ফাউন্ডার নিজের মালিকানায় রেখে দিবেন।
প্রতিটি ১ লক্ষ টাকার শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগকারী ২৫৫ অযুতাংশ (০.০২৫৫ শতক/ ১১.১১ বর্গফুট) জমির মালিকানা পাবেন।
উত্তোলিত ৫ কোটি টাকা থেকে দেড় কোটি টাকা জমি ক্রয় বাবদ, ৫০ লক্ষ টাকা স্থাপনা নির্মাণবাবদ এবং অবশিষ্ট ৩ কোটি টাকা অপারেশনাল খরচ বাবদ নির্বাহ করা হবে।
আহলানের মালিকানা শেয়ার কিনলে বিনিয়োগকারীদের লাভ:
১। যেকোন প্রতিষ্ঠান দাড়া করাতে বা প্রফিটে আসতে ৪-৫ বছর সময় দরকার, যা ইতোমধ্যে আহলান এ্যাগ্রো অতিক্রম করেছে। ২০২৫ সালের কুরবানিতে আহলান এ্যাগ্রো প্রোফিটে এসেছে এবং এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে, ইন শা আল্লাহ। ইনিশিয়াল সেট আপ এবং ইনিশিয়াল কাস্টমার একুইজিশন কস্ট অতিক্রম করে আহলান এখন প্রোফিটের মাইলস্টোন অর্জন করেছে। প্রোফিটেবল আহলান এ্যাগ্রোর মালিকানা শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে বাৎসরিক লভ্যাংশ প্রাপ্তির সুযোগ।
২। এ্যাগ্রোর নামে জমির মালিকানা থাকায় শুধুমাত্র জমির ভ্যালুয়েশন-ই আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দশগুণ বাড়বে, ইন শা আল্লাহ। তাই আপনার মালিকানা থাকছে সিকিউরড ও নিশ্চিন্ত।
৩। সামনের দিনগুলো ওয়ার্ল্ড ফাইন্যান্সিয়াল মুভমেন্ট এ্যাগ্রোতে শিফট করতে যাচ্ছে। বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ, জ্যাক মা সহ প্রায় সকল বিলিয়নিয়রদের এ্যাগ্রোতে বিজনেস শিফট করার প্রবণতা এই ধারণাকেই সত্য প্রমানিত করে। এআই এর কারণে ইন্টেলেকচ্যুয়াল ক্ষেত্রে মানুষের কাজের ক্ষেত্র সঙ্কুচিত হতে যাচ্ছে। সময়মতো এ্যাগ্রোতে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে নিজের আর্থিক সক্ষমতাকে ডাইভার্সিফাইড এবং স্ট্যাবল করার সুযোগ রয়েছে।
৪। কুরবানির গরু, মাংস, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, সবজি এ্যাগ্রো ট্যুরিজমে শেয়ার হোল্ডার জন্য থাকবে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট।
৫। আহলান এ্যাগ্রো তে সময় প্রদানের মাধ্যমে কৃষির সাথে যুক্ত থেকে মানসিক প্রশান্তি লাভের সুযোগ।
মালিকানা শেয়ারের বিনিয়োগের পরিমাণ:
আহলান ৪৯০ টি শেয়ার ছাড়তে যাচ্ছে, প্রতিটি শেয়ারের মূল্যমান ১ লক্ষ টাকা। ন্যুনতম ১ টি শেয়ার থেকে শুরু করে পাওয়া সাপেক্ষে ৪৯০ টি শেয়ার ক্রয়ের সুযোগ রয়েছে। ৩০ টি শেয়ার ক্রয় করলে পরিচালনা পর্ষদে স্থান পাবে।
বিনিয়োগের নিরাপত্তা:
মালিকানা শেয়ারে বিনিয়োগ পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের নিরাপত্তার জন্য বিনিয়োগকারীর নিকট নিম্নোক্ত সিকিউরিটি ইন্সট্রুমেন্ট বিদ্যমান থাকবে:
- ৩০০ টাকার দলিলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রাথমিক চুক্তি সাক্ষরিত হবে।
- ছয়মাস/ একবছরের মধ্যে ঐ সময়ের মধ্যে আগত বিনিয়োগকারিদের জমির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হবে।
- বিনিয়োগকৃত অর্থের একটি ব্যাংক চেক প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য যে, ব্যাংক চেক একটি শক্তিশালী ইন্সট্রুমেন্ট যা ডিজওনার হলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে মামলা করা যায়।
- আহলানের ব্রান্ডভ্যালু। দীর্ঘদিন তিল তিল করে গড়া আহলানের ব্রান্ডভ্যালু আহলান কোনভাবেই চাইবে না কোন আর্থিক কেলেঙ্কারীর কারণে নষ্ট হোক।
- আহলানের ফাউন্ডারের পারসোনাল ব্রান্ডভ্যালু। পুরো বিনিয়োগ প্রক্রিয়াটি আহলানের ফাউন্ডার সাগর হাসনাতের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। কোন আর্থিক কারণে দীর্ঘদিনের কষ্টে অর্জিত ব্রান্ডভ্যালু ক্ষতি করতে কেউই আগ্রহী হবে না।
জমির পরিমাণ ও বিস্তারিত:
আহলান এ্যাগ্রো প্রাথমিকভাবে ঢাকার কেরাণিগঞ্জের কলাতিয়া বাজারের নিকট সিরাজনগরে ধলেশ্বরী নদীর তীরে ২৫.৫ শতক জমি ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নদীতীরের নয়নাভিরাম দৃশ্যে উপভোগের পাশাপাশি এটি এ্যাগ্রো করার জন্য খুবই উপযুক্ত একটি জায়গা। জমির সামনে, পেছনে ও সাইডে প্রচুর ঘাসের জমি রয়েছে, যেগুলো লিজ নিয়ে শুধু আহলানের ঘাসের চাহিদাই পূর্ণ হবে না, বরং অন্যান্য এ্যাগ্রোতেও ঘাস বিক্রি করা যাবে। উল্লেখ্য যে, ঢাকার এ্যাগ্রোগুলোতে ৭-৮ টাকা কেজি দরে ঘাস বিক্রি হয়। এ্যা্গ্রোর পাশাপাশি জমি লিজ নিয়ে অর্গানিক বা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা যাবে, যা এ্যাগ্রোর মালিকদের চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও বিক্রি করা যাবে। জমি কিনে আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ করে কমিউনিটি ভিত্তিক একটি এগ্রি ভিলেজ স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে। কলাতিয়ার এই জমিতে যে সুযোগগুলো রয়েছে:
- নদীতীরের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে কায়াকিং, রিভারক্রসিংসহ এ্যাগ্রো ট্যুরিজমের অভূতপূর্ব সুযোগ
- স্পোর্টস কমপ্লেক্স বানিয়ে ঢাকার কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করার সুযোগ
- অর্গানিক ও প্রাকৃতিক সবজি চাষ করার সুযোগ
- লিজকৃত জমিতে ঘাস চাষ করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য এ্যাগ্রোতে ঘাস বিক্রির সুযোগ
- অংশীজনদের জমি ক্রয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে কমিউনিটি ভিত্তিক এ্যাগ্রো ভিলেজ স্থাপনের সুযোগ
২৫.৫ শতক জমিতে ১০০০ টি সমান ব্লক করা হয়েছে। একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি ব্লকের মালিকানা প্রদান করা হবে। লাল দাগাঙ্কিত ব্লকগুলো কেনার সুযোগ নেই, শুধুমাত্র সবুজ দাগাঙ্কিত ব্লকগুলো বিক্রির জন্য অবশিষ্ট রয়েছে:

লেনদেনের ভলিয়্যুম ও কানেকশনের কারণে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে আহলান সহজেই বিনিয়োগ গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সুদের মতো মারাত্মক একটি গুণাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য আহলান ইসলামিক বিনিয়োগ পদ্ধতিতে বিনিয়োগ গ্রহণ করে থাকে। হালাল উপাজর্নের এ প্রচেষ্টায় কোন ব্যাড প্রাকটিস ও খেয়ানতের কারণে আহলান সংশ্লিষ্ট কেউই তাদের আখিরাত নষ্ট করতে আগ্রহী নয়। আহলান জ্ঞাতসারে কখনও কারও এক পয়সা অন্যথা হতে দিবে না। "আহলান এগ্রো” শুধু মুনাফা অর্জনের কোন প্রোজেক্ট নয়, বরং এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে মুনাফার পাশাপাশি সমাজে যাতে ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটে সেটাই উদ্দেশ্য। আল্লাহ যেন এই প্রোজেক্ট সংশ্লিষ্ট সকলকে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম করেন এবং “আহলান এপ্রো” তে বারাকাহ প্রদান করেন। আমিন।।