ব্যাবসা পরিচিতি

প্রতিষ্ঠান পরিচিতিঃ

আহলান দেশের অনলাইন বিজনেস কমিউনিটির একটি পরিচিত নাম। ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে আহলান অদ্যাবধি সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে বিশুদ্ধ খাবার সরবরাহের ব্যবসার সাথে যুক্ত। দীর্ঘদিনের পথচলায় আহলান অর্জন করেছে গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসা। নগদ লাভের চেয়ে সকলের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদে সফলতা অর্জনই আহলানের লক্ষ্য।

গ্রাহকদের গ্রোথ হরমোন, স্টেরয়েড, এন্টিবায়োটিকমুক্ত, নিরোগ, দেশাল ষাড় গরু সরবরাহের লক্ষ্যে ২০২১ সালে আহলান এগ্রো যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শুরুর প্রথম বছরেই আহলানের অন্যান্য পণ্যের মতো কুরবানির গরুগুলোও গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে। প্রথম বছর সাময়িক একটি শেড ভাড়া করার মাধ্যমে আহলান সীমিত আকারে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। কুরবানি প্রজেক্ট শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আরও বড় পরিসরে ব্যবসা করার লক্ষ্যে আহলান ঢাকার বসিলায় একটি স্থায়ী শেড গ্রহণ করে এবং তখন থেকে অদ্যাবধি বছরব্যাপি নিরাপদ গরুর মাংস সরবরাহের ব্যবসা শুরু করে এবং চারটি কুরবানির ঈদে সফলভাবে কুরবানির গরু, কশাই সার্ভিস, ছাগল ও ভাগা সার্ভিস প্রদান করে এবং গ্রাহকদের নিকট থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে।

ফাউন্ডারঃ

আহলান একটি সোল প্রোপ্রাইটরশিপ প্রতিষ্ঠান। আহলানের যাত্রা শুরু হয় সাগর হাসনাত এর হাত ধরে। আইবিএ, জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করে তিনি দীর্ঘদিন একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকরী ছেড়ে এখন পুরো সময় তিনি আহলানকে গড়ে তোলার পেছনে ব্যয় করছেন। একাডেমিক ও পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিজনেস হওয়ার কারণে ব্যবসার প্রতি রয়েছে তার তীব্র আগ্রহ। এই আগ্রহ ও অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের শতভাগ তিনি প্ৰদান করছেন আহলানকে গড়ে তোলার পেছনে।

পণ্য

গরুর ব্যবসা একটি লাভজনক এবং চাহিদাসম্পন্ন ব্যবসা হলেও এ ব্যবসা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে। সঠিক বিনিয়োগ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেক খামার বন্ধ করে দিতে হয় এবং অনেক ব্যবসায়ী পথে বসে যায়। আমাদের অভিজ্ঞতায় এ ব্যবসায় সফল হতে হলে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন:

  • ১. বছরব্যাপি নিয়মিত ক্যাশফ্লো
  • ২. সঠিক ব্যবস্থাপনা ও
  • ৩. মজবুত কাস্টমার ভিত্তি।

এ তিনটি জায়গায় ফোকাস করার জন্য আহলান অন্যান্য এগ্রোর মতো শুধুমাত্র কুরবানিকেন্দ্রিক ব্যবসা করার পরিবর্তে বছরব্যাপি ক্যাশফ্লো নিশ্চিতের জন্য ভ্যালু অ্যাডেড প্রোডাক্ট হিসেবে মাংস করে আসছে। আহলানে সাধারণত দুটি লটে গরু পালন করা হয়, এক, কুরবানির ঈদের পর থেকে পরবর্তী ঈদুল ফিতর পর্যন্ত মাংসের জন্য গরু এবং দুই, কুরবানির ঈদের ছয় মাস পূর্ব হতে কুরবানির জন্য গরু।

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে যাত্রা শুরু হয় আহলানের নতুন ভেঞ্চার “বিফওয়ালা”। বিফওয়ালাতে আহলান এ্যাগ্রোর গরুর মাংস রান্না করে গ্রাহকদের নিকট সরবরাহ করা হয়। যাত্রা শুরুর আট মাসের মাথায় বিফওয়ালার দ্বিতীয় ব্রাঞ্চের উদ্বোধন করা হয়। এ্যাগ্রো, কাঁচা মাংস বিক্রি এবং বিফওয়ালা নিয়ে আহলান এমনভাবে এগুচ্ছে যাতে এ্যাগ্রোতে উৎপাদিত গরুর মাংস বিক্রির জন্য বাইরের কোন ভেন্ডরের দারস্থ হতে না হয়। খরচ কমানোর জন্য আহলান অত্যন্ত লিন পদ্ধতিতে খামার পরিচালনা করে থাকে এবং তাদের অন্যান্য ব্যবসা, ফিক্সড খরচ কমানোর ব্যাপারে সহায়তা করে থাকে। বর্তমানে আহলান এ্যাগ্রোতে চার ধরণের পণ্য ও সেবা রয়েছে:

  • ১. কুরবানি সেবা (লাইভ গরু, ছাগল, কশাই সার্ভিস, ভাগা সার্ভিস ও হোম ডেলিভারি)
  • ২. বছরব্যাপী মাংস
  • ৩. আকিকাহ ও সাদাকাহ সেবা ও
  • ৪. বছরব্যাপী কশাই সেবা।
বিগত বছরে আহলান এগ্রোর অর্জন:

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আল্লাহর অশেষ রহমতে কুরবানির ঈদে আহলানের কিছু অর্জন:

  • ১. প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার রেভিনিউ অর্জন
  • ২. মোট ৭০ টি গরু বিক্রয়
  • ৩. মোট ১৯ টি ছাগল বিক্রয়
  • ৪. ঈদের দিন ২৮ টি গরু ও ১৬ টি ছাগলের কশাই সেবা
  • ৫. ১২ টি গরু ভাগার মাধ্যমে বিক্রয়
আহলান এগ্রোর কিছু শক্তিশালী দিক:
  • ১. ঢাকার বসিলাতে প্রায় ১০ কাঠার লিজ নেয়া জমিতে আহলানের গরুর শেষ রয়েছে যেখানে প্রায় ১২০ টি গরু লালন-পালনের সুযোগ রয়েছে।
  • ২. শুধু ক্যাপাসিটিই নয়, একসাথে ১০০-১২০ টি গরু লালন-পালনের যে অভিজ্ঞতা, সাহস ও জনবলের প্রয়োজন সেটিও আহলানের রয়েছে।
  • ৩. রংপুরে ছাগল লালন-পালনের জন্য আহলানের সেট-আপ রয়েছে।
  • ৪. আহলানের নিজস্ব শক্তিশালী কশাই টিম রয়েছে যা আহলানের অনেক সময়, শ্রম, অর্থ ও মাংসের চুরি রোধ করে।
  • ৫. নীলফামারীতে আহলানের নিজস্ব গরুর খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
  • ৬. আহলান খুবই “লিন স্ট্রাকচার" ফলো করে খুবই কম খরচে ফার্মিং করে এবং আহলানের ডাইভার্সিফাইড ব্যবসা আহলানের ফিক্সড খরচ কমাতে সাহায্য করে।
  • ৭. গরু সাপ্লাই দেবার জন্য সাপ্লায়ার এন্ডে দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, গাবতলী এবং গাজীপুরের গরুর ব্যাপারিদের সাথে আহলানের শক্তিশালী কানেকশন রয়েছে।
  • ৮. প্রায় ১৩০০ জনের একটি শক্তিশালী, লয়্যাল বিটুসি কাস্টমার বেইস রয়েছে আহলানের।
  • ৯. যারা প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ খাবারের ব্যবসা করে এরকম ব্যবসায়ীদের সাথেও আহলানের খুবই ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। বিগত দিনগুলোতে খাসফুড, সবুজ উদ্যোগ, সিজন বেস্ট, আসল ফুড, রকমারী ফুড, ইনসাফ শপ, সেইফ ফুড, বেষ্ট বাজার, বারাকাহ শপ, কাহফ, নাহিদ হানিতে এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে আহলান মাংস সরবরাহ করেছে।
  • ১০. আহলান কর্পোরেশনের নিজস্ব আউটলেট, ডেলিভারি চ্যানেল, ওয়েবসাইট, এ্যাপ, কল সেন্টার, ফেসবুক পেইজ ইত্যাদি আহলান এগ্রোর জন্য অনেক বড় এ্যাসেট।

প্রজেক্ট কুরবানি

২০২৫ সালের কুরবানির ঈদে আহলানের লক্ষ্যমাত্রা:

২০২৫ সালে আহলান এ্যাগ্রোর লক্ষ্যমাত্রা হলো প্রফিটেবল গ্রোথ অর্জন, সংখ্যার হিসেবে যা এক কোটি নব্বই লক্ষ টাকা রেভিনিউ অর্জন এবং ৩৩ লক্ষ টাকা নেট প্রফিট অর্জন। রেভিনিউ এর মধ্যে:

  • ১. ১.৬ কোটি টাকা আসবে আস্ত গরু থেকে
  • ২. ২০ লক্ষ টাকা আসবে ভাগা সার্ভিসের মাধ্যমে
  • ৩. ৬ লক্ষ টাকা ছাগল বিক্রির মাধ্যমে
  • ৮. ৪ লক্ষ টাকা কশাই সার্ভিসের মাধ্যমে।
২০২৫ সালের কুরবানি প্রোজেক্টে এক্সপেক্টেড প্রফিট ও ROI :

এক্সপেক্টেড খরচ:

ক্র. নং

আইটেম

সংখ্যা

দর

মোট

১।

গরু ক্রয়

১৫০ টি

৮০,০০০/-

১,২০,০০,০০০/-

২।

ছাগল ক্রয়

৩০ টি

১২,০০০/-

৩৬০,০০০/-

৩।

গরুর খাবার

৬ মাস (১৫০ টি)

৩০০০/-

২৭,০০,০০০/-

৪।

শেড ভাড়া

৬ মাস

২০,০০০/-

১২০,০০০/-

৫।

স্যালারি

৬ মাস (৩ জন)

২০,০০০/-

৩৬০,০০০/-

৬।

পানি ও বিদ্যুৎ

৬ মাস

৮,০০০/-

৪৮,০০০/-

৭।

ওয়েবসাইট, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি

 

 

৫০,০০০/-

৮।

ঈদের দিন কসাই খরচ

৫০ গরু

৮,০০০/-

৪০০,০০০/-

৯।

ঈদের দিন সাপোর্ট স্টাফ খরচ

২০ জন

১০০০/-

২০,০০০/-

১০।

ঈদের দিন খাওয়ার খরচ

 

 

২০,০০০/-

১১।

অন্যান্য খরচ

 

 

২০,০০০/-

মোট খরচ:

১,৬০,৯৮,০০০/-

এক্সপেকটেড রেভিনিউ:

ক্র. নং

আইটেম

সংখ্যা

দর

মোট

১।

গরু বিক্রয়

১৫০ টি

১২০,০০০/-

১,৮০,০০,০০০/-

২।

ছাগল বিক্রয়

৩০ টি

২০,০০০/-

৬০০,০০০/-

৩।

কসাই সার্ভিস (গরু)

৫০ টি

১২,০০০/-

৭৫০,০০০/-

৪।

কসাই সার্ভিস (ছাগল)

২০ টি

২,০০০/-

৪০,০০০/-

৫।

হোম ডেলিভারি সার্ভিস

৩০ টি

১,০০০/-

৩০,০০০/-

মোট এক্সপেক্টেড রেভিনিউ:

১,৯৪,২০,০০০/-

মোট এক্সপেক্টেড প্রফিট:

৩৩,২২,০০০/-

এক্সপেক্টেড ROI:

৩৫.৩৮%  (বাৎসরিক)

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে উপর্যুক্ত হিসেবে অনেক যদি, কিন্তু অথবা রয়েছে। গরুর ব্যবসা খুবই উচ্চঝুঁকির একটি ব্যবসা, এজন্য এটাতে রিটার্নের হারও বেশি, লস হবার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে আশার কথা হলো, আহলান ন্যাচারাল ফার্মিং করায় আহলানের গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং আল্লাহর রহমতে বিগত বছরগুলোতে গরু নষ্ট হবার কোন রেকর্ড আহলানে নেই, আলহামদুলিল্লাহ। এছাড়াও বছরব্যাপি আহলানের মাংস বিক্রির ব্যবসা উন্মুক্ত থাকায় আহলানের লস হবার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে কম এবং বিগত তিন বছরের অভিজ্ঞতা আহলানকে লস মিনিমাইজেশনের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সহযোগিতা করেছে।

বিনিয়োগ পদ্ধতি

বিনিয়োগ পদ্ধতি:

আহলান বিনিয়োগকারীদের এবার কুরবানির ঈদের প্রোজেক্টের জন্য মুদারাবা পদ্ধতিতে বিনিয়োগ গ্রহণ করছে। মুদারাবা হলো বিনিয়োগকারীদের নিকট থেকে বিনিয়োগ গ্রহণের জন্য ইসলামিক ফাইন্যান্সের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং গ্রহণযোগ্য একটি ব্যবসা পদ্ধতি। নবী কারীম (সা.), মা খাদিজা (রা.) এর সাথে এপদ্ধতিতেই ব্যবসা করেছিলেন। বিনিয়োগকারীর অর্থ এবং আহলানের ম্যানেজমেন্ট এর সমন্বয়ে সারাবছরব্যাপী ব্যবসা করার মাধ্যমে অর্জিত মুনাফা/লস বিনিয়োগকারী ও আহলান এর মধ্যে ৫৫:৪৫ অনুপাতে বিভক্ত হবে। আহলান মুনাফা/লসের ৪৫ শতাংশ ভোগ করবে, বিনিয়োগকারী ভোগ করবে ৫৫ শতাংশ। নীচে বিস্তারিত বলা হলো:

  • ১. ইনভেস্টরের প্রফিট/লস রেশিও - ইনভেস্টর : আহলান এ্যাগ্রো = ৫৫ : ৪৫
  • ২. ফুল প্রজেক্টের এক্সপেকটেড প্রফিট: ৩৩,২২,০০০/-
  • ৩. ইনভেস্টরের এক্সপেকটেড প্রফিট: ১৮,২৭,১০০/-
  • ৪. ইনভেস্টরের এক্সপেকটেড ROI (বাৎসরিক): ১৯.৪৬%
মুদারাবা পদ্ধতিতে ইনভেস্টমেন্ট মেয়াদ:

০১, ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে ৩০ জুন, ২০২৫, মোট সাত মাস। ০১ ডিসেম্বর থেকে আমাদের অর্থ সংগ্রহ শুরু হবে। ডিসেম্বর মাস আমাদের শেড প্রস্তুত, মেরামত এবং গরু কেনার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। জানুয়ারি মাস থেকে আমাদের গরু কেনাকাটা শুরু হবে এবং প্রোজেক্টের আয়-ব্যয়ের হিসেব শুরু হবে। যেহেতু ফেজ বাই ফেজ গরু কেনা হবে, কুরবানির আগে আগে ছাগল কেনা হবে, তাই আমরা কুরবানির আগ পর্যন্ত বিনিয়োগ সংগ্রহ করবো। বিনিয়োগ সংগ্রণের সময়সীমা: ০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে ৩১ মে, ২০২৫ পর্যন্ত।

প্রফিট/লসের বিনিয়োগকারীদের ভাগের ৫৫ শতাংশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগের সময়সীমা অনুযায়ি বন্টিত হবে। উদাহরণস্বরুপ কেউ যদি ডিসেম্বরের ১০ তারিখ ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে, তাহলে পুরো প্রজেক্ট শেষে তার অর্জিত মুনাফা/লস:

  • ১. মোট সময়: ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে ৩০ জুন, ২০২৫ পর্যন্ত: ২০০ দিন
  • ২. বিনিয়োগের পরিমাণ: ৫ লক্ষ টাকা
  • ৩. লাভ/লসের হার: ১৯.৪৬%
  • ৪. ২০০ দিনে ৫ লক্ষ টাকায় লাভ/লসের পরিমাণ: ৫৩,৩১৫/- টাকা

কেউ যদি মার্চ মাসের ১০ তারিখ ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে তাহলে তার অর্জিত মুনাফা/লস হবে নিম্নরুপ:

  • ১. মোট সময়: ১০ মার্চ, ২০২৪ থেকে ৩০ জুন, ২০২৫ পর্যন্ত: ১০০ দিন
  • ২. বিনিয়োগের পরিমাণ: ৫ লক্ষ টাকা
  • ৩. লাভ/লসের হার: ১৯.৪৬%
  • ৪. ১০০ দিনে ৫ লক্ষ টাকায় লাভ/লসের পরিমাণ: ২৬,৬৫৭/- টাকা
মুদারাবা পদ্ধতিতে বিনিয়োগের পরিমাণ:

মুদারাবা পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৩০,০০০ থেকে শুরু করে ১.৬০ কোটি টাকার নীচে যেকোন পরিমাণ বিনিয়োগ আহলান গ্রহণ করে থাকে।

শেষ কথা

বিনিয়োগের নিরাপত্তা:

মুদারাবা বিনিয়োগ পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের নিরাপত্তার জন্য বিনিয়োগকারীর নিকট নিম্নোক্ত সিকিউরিটি ইন্সট্রুমেন্ট বিদ্যমান থাকবে:

  • ১। ই-রিসিপ্ট প্রদান করা হবে যা উভয় পক্ষের মধ্যকার চুক্তি হিসেবে পরিগণিত হবে।
  • ২। শর্তসাপেক্ষে বিনিয়োগ মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখে বিনিয়োগকৃত অর্থের একটি ব্যাংক চেক প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য যে, ব্যাংক চেক একটি শক্তিশালী ইন্সট্রুমেন্ট যা ডিজওনার হলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে মামলা করা যায়।
  • ৩। শর্তসাপেক্ষে ৩০০ টাকার দলিলে উভয় পক্ষের চুক্তি সাক্ষরিত হবে। (দলিল প্রস্তুত, প্রিন্ট, দলিল কেনা ও ট্রান্সপোর্ট খরচ বাবদ প্রতিটি দলিল ও চেকের জন্য ৭০০/- টাকা করে বিনিয়োগকারীকে প্রদান করতে হবে।
  • ৩। আহলানের ব্রান্ডভ্যালু। দীর্ঘদিন তিল তিল করে গড়া আহলানের ব্রান্ডভ্যালু আলান কোনভাবেই চাইবে না কোন আর্থিক কেলেঙ্কারীর কারণে নষ্ট হোক।
  • ৪। আহলানের ফাউন্ডারের পারসোনাল ব্রান্ডভ্যালু। পুরো বিনিয়োগ প্রক্রিয়াটি আহলানের ফাউন্ডার সাগর হাসনাতের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। কোন আর্থিক কারণে দীর্ঘদিনের কষ্টে অর্জিত ব্রান্ডভ্যালু ক্ষতি করতে কেউই আগ্রহী হবে না।

লেনদেনের স্বচ্ছতা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার সহজলভ্যতা সত্ত্বেও আহলান ইসলামিক বিনিয়োগ পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। কারণ, ইসলামিক শরীয়াহ মেনে চলার পাশাপাশি আহলান চায় না যে, কোন ব্যাংকিং লেনদেনের কারণে কেউ আল্লাহর নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে। আহলানের কাজ কর্মের মূল লক্ষ্য হলো, বিনিয়োগকারীদের অর্থ যেন সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং তারা যেন সুদমুক্ত ও হালাল উপার্জনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। “আহলান” আশা করে যে, এই পবিত্র উদ্দেশ্য বিনিয়োগকারীদের মন ও আত্মাকে সন্তুষ্টি দেবে এবং “আহলান” এর সাথে সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

উপসংহার

লেনদেনের ভলিয়্যুম ও কানেকশনের কারণে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে আহলান সহজেই বিনিয়োগ গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সুদের মতো মারাত্মক একটি গুণাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য আহলান ইসলামিক বিনিয়োগ পদ্ধতিতে বিনিয়োগ গ্রহণ করে থাকে। হালাল উপাজর্নের এ প্রচেষ্টায় কোন ব্যাড প্রাকটিস ও খেয়ানতের কারণে আহলান সংশ্লিষ্ট কেউই তাদের আখিরাত নষ্ট করতে আগ্রহী নয়। আহলান জ্ঞাতসারে কখনও কারও এক পয়সা অন্যথা হতে দিবে না। "আহলান এগ্রো” শুধু মুনাফা অর্জনের কোন প্রোজেক্ট নয়, বরং এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে মুনাফার পাশাপাশি সমাজে যাতে ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটে সেটাই উদ্দেশ্য। আল্লাহ যেন এই প্রোজেক্ট সংশ্লিষ্ট সকলকে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম করেন এবং “আহলান এপ্রো” তে বারাকাহ প্রদান করেন। আমিন।।

আপনি কি বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক? এখানে ক্লিক করুন